আইয়ামে বীজের রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৫ (জানুয়ারি) মাস ভিত্তিক!

আইয়ামে বীজের রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৫ (জানুয়ারি) মাস ভিত্তিক! দেখে নিন। আইয়াম হলো আরবি ইয়াওম শব্দের বহুবচন। যার অর্থ হলো দিনগুলো। আর বীজ শব্দ এর অর্থ হলো সাদা বা শুভ্র। আইয়ামে বীজ দ্বারা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে বোঝানো হয়। এই তারিখগুলোতে জ্যোৎস্নায় রাতগুলো খুবই শুভ্র ও আলোকিত হয়। বিশেষত মরুভূমিতে এটি বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। এ কারণে তারিখগুলোকে একসঙ্গে বোঝাতে ‘আইয়ামে বীজ’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানের ফরজ রোজা তথা সিয়ামের পাশাপাশি আমরা অনেকেই নফল রোজা পালন করে থাকি। যার মধ্যে সর্ব উত্তম ও মর্যাদা পূর্ণ রোজা হল আইয়ামে বীজ, যার মাস ব্যাপী ৩টি রোজা আপনাকে সারা বছর রোজা বা সিয়াম পালনের সওয়াব দেয়।

এ মাসে আইয়ামে বীজের রোজার তারিখ ২০২৫

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মতো বাংলাদেশের মুসলিম ভাই ও বোনেরাও আইয়ামে বীজের রোজা পালন করে থাকেন। এতে করে প্রতি মাসেই মাস ব্যাপী কবে আইয়ামে বীজের রোজা হবে, রয়েছে অথবা পরেছে তা তারা জানতে চায়। হিজরি ১৪৪৬ সনের আরবি রজব মাস এ মাসের ১ তারিখে শুরু হয়েছে, এতে করে জানুয়ারি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার আইয়ামে বীজের রোজা করতে হবে। অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি রবিবার দিবাগত রাতে সেহরি খেয়ে সোমবার থেকে রোজা শুরু করতে হবে।

আইয়ামে বীজের রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৫

পবিত্র মাহে রমজানের রোজার ক্ষেত্রে যেমন সময় সূচি ক্যালেন্ডার রয়েছে, তেমনি ভাবে আইয়ামে বীজের রোজারও রয়েছে নিদিষ্ট সময়সূচি। যার প্রেক্ষিতে সেহরি ও ইফতার করতে হয়। তাই আপনাকে মাসব্যাপী আইয়ামে বীজের নফল রোজা গুলো করতে আইয়ামে বীজের রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৫ জেনে নিতে হবে। এতে করে ইনশাআল্লাহ্‌ খুব সহজেই ফজিলত পূর্ণ এ মাসের ৩টি আইয়ামে বীজের রোজা বা সিয়াম রাখতে পারবেন।

আইয়ামে বীজের রোজার ক্যালেন্ডার 2025 (জানুয়ারি) মাস

চলতি রজব মাসের চাঁদের হিসাব অনুযায়ী আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্ধারিত দিন হলো- ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ মোতাবেক ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫। যারা এ মাসের আইয়ামের বিজের রোজা রাখবেন; তাদেরকে ১২ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাহরি খেতে হবে। এ অংশে হতে দেখে নিন জানুয়ারি মাসের আইয়ামে বীজের রোজার ক্যালেন্ডার 2024 অনুসারে আজকের সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ক্যালেন্ডার।

আইয়ামে বিজ এর রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

আবুু জর (রা.)-কে নবীজি (সা.) বলেছেন, তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখো। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬১)

এ ছাড়া মাসের যেকোনো তিন দিন রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হবে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬২)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ধৈর্যের মাস হলো রমজান মাস। আর প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম (রোজা) পালন করা সারা বছর সাওম (রোজা) পালন করার সমতুল্য। (নাসাঈ, হাদিস : ২৪০৮)

মাসে তিন দিন রোজা রাখলে মনের ওয়াসওয়াসা দূর হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের অন্তরের ওয়াসওয়াসা দূর করার আমল সম্পর্কে অবহিত করব না? সাহাবিরা বলেন, কেন নয়? তিনি বলেন, তা হলো প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম (রোজা) পালন করা। (নাসাঈ, হাদিস : ২৩৮৬)

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো কোনো ইসলামিক স্কলার বলেছেন, ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব পড়ে। এ দিনগুলোতে চাঁদ পূর্ণতা পায়। এ সময় ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের অভ্যন্তরে এ আকর্ষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।